গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় - graphic design bangla

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয় করার উপায়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে আয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়

গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধুমাত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পোষ্টার ডিজাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং বিজ্ঞাপন, বিজনেস কার্ড, ইনভেলপসহ হাজারো কাজে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।

একজন ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারের পক্ষে মাসে ২৪০০০ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এজন্য তার মধ্যে অবশ্যই তিনটি (০৩) বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:

১) ডিজাইনে দক্ষ হতে হবে ,
২) সৃজনশীল মন থাকতে হবে ( ক্রিয়েটিভ ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা ),
 ৩) ধৈর্য্য শক্তি এবং পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে,


ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সাধারনত যে সকল ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রচলিত কয়েকটি ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হলো:

  • -ইমেজ এডিটিং
  • -লোগো ক্রিয়েট করা
  • -ভিজিটিং কার্ড
  • -বিজ্ঞাপন তৈরি
  • -ব্রশিয়ার তৈরিকরণ
  • -পত্রিকার কাজ
  • -বিজসে কার্ড তৈরি
  • -বিলবোর্ড ডিজাইন
  • -অ্যাপস লেআউট
  • -ওয়েব ডিজাইন
  • -ক্যালেন্ডার তৈরি
  • -ম্যাগাজিন ডিজাইন
  • -বইয়ের কভার ডিজাইনকরণ
  • -টি-শার্ট ডিজাইন


এইগুলো ছাড়াও আরো অনেক রকমের কাজ রয়েছে। যেগুলো বায়ার তার প্রয়োজন মতো অর্ডার করে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করার সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইট:

ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করে আয় করার অনেক ওয়েবসাইট আছে। যেগুলো থেকে নির্বাচিত কয়েকটি সাইট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।

ডিজাইনিং এ ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি দুইভাবে ইনকাম করতে পারেন।

১) অ্যাকটিভ ইনকাম।
২) পেসিভ ইনকাম।

১) অ্যাকটিভ ইনকাম:

বায়ারের পছন্দ অনুসারে। লোগো, ব্যানার বা যেকোন ডিজাইন করে। একটি কাজের জন্য মাত্র একবার আয় করাকে অ্যাকটিভ ইনকাম হিসেবে ধরতে পারেন।

২) পেসিভ ইনকাম

ডিজাইনের প্রচলিত চাহিদার উপর ভিত্তি করে। আপনার পছন্দমত কোন ডিজাইন তৈরি করার পর। নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেসে আপলোড করার ফলে। যতবার বিক্রি হবে। ততবারই আপনি টাকা পাবেন। আর একটা ডিজাইন বিক্রি হতে পারে হাজার হাজার বার।

উদাহরণ: ধরুন, আপনি একটি ওয়েব টেমপ্লেট তৈরি করলেন। এবং সেটির মূল্য $30 ডলার নির্ধারণ করলেন। যখন কেউ আপনার ডিজাইনটি ক্রয় করবে।
 তখন, মার্কেটপ্লেস ভেদে প্রতিটি ডিজাইন বাবদ। আপনি ৬০% – ৯০% কমিশন পাবেন।

যদি আপনার ডিজাইনটি 100 বার বিক্রি হয়। এবং কমিশনের পরিমাণ যদি 70% হয়। তাহলে আপনি পাবেন:

সম্ভাব্য কমিশন হিসাব

1টি ডিজাইন বিক্রি বাবদ ($30/100)70= $21 ডলার সুতরা, 100 বার বিক্রি বাবদ পাবেন: 21100= $2100
 যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে প্রায় (1,68,000) এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা। ($1=৮০ টাকা ধরে)।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অ্যাকটিভ ইনকামের ওয়েবসাইট

১) 99 Designs

আপনি যদি একজন দক্ষ ও সৃজনশীল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন। তাহলে ৯৯ডিজাইন সাইটটির মাধ্যমে গ্রাফিক্স কম্পিটিশন করে। অনলাইন থেকে দুর্দান্ত উপায়ে আয় করতে পারেন।

যেভাবে কাজ পাবেন:

মূলত এই সাইটটিতে নির্দিষ্ট একটি প্রজেক্ট এর জন্য কনটেস্ট (প্রতিযোগিতা) হয়। এই কনটেস্টে যে কোন ডিজাইনার ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে। একাধিক ডিজাইন সাবমিট করতে পারে। এবং বায়ার তার পছন্দমত একজন কে বিজয়ী নির্বাচন করে থাকে।

আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে, কম্পিটিশন করে ইনকাম করা অনেক কঠিন। কিন্তু আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন। তাহলে এই সাইট থেকে সহজেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

সুবিধা:
৯৯ডিজাইনের সুবিধা হলো। এখানে সবাই সবার ডিজাইন দেখতে পায়। অর্থাৎ প্রত্যেকের তৈরিকৃত ডিজাইন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। ক্লাইন্টরা এসব ডিজাইনের উপর রেটিং করে থাকে। ফলে এসব ডিজাইন দেখে ভালো ডিজাইন তৈরি করার মানসিকতা তৈরি হয়।

২) বিহ্যান্স
২০০৬ সালে স্কট বেলস্কি এবং মতিয়াস কোরা বিহ্যান্স প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে, ২০১২ সালে বিখ্যাত ডিজাইনিং টুলস প্রস্তুতকারী কোম্পানী Adobe Inc বিহ্যান্সের মালিকানা ক্রয় করে নেয়।

এডোবি কোম্পানী হলো:

গ্রাফিক্স জগতের সেরা সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাছে বিহ্যান্স.নেট একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে এটিই আপনার জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস। কারণ-এই সাইটটিকে ডিজাইনাররা সমমনা অন্যান্য ডিজাইনার এবং ক্লায়েন্টদের কাছে। তাদের পারদর্শিতা এবং যোগ্যতা প্রকাশের অন্যতম সামাজিক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

এখানে আকর্ষনীয় তথ্য-সম্পূর্ণ একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখলে। বায়াররা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে তাদের চাহিদা উপযোগি অর্ডার দেন।

বিহ্যান্স-এ কাজ করার সুবিধা:

এই মার্কেটপ্লেসটি এ্যাডোবি কোম্পানীর মালিকানায় আসার পর থেকে। এর বিভিন্ন টুলস যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইনডিজাইন প্রভৃতি আপনার তৈরিকৃত ডিজাইনগুলো বিহ্যান্স প্রো-সাইটে আপলোড করতে পারবেন। এবং পোর্টফোলিও হিসেবে সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

৩) ডিজাইন ক্রাউড

এটি এমন একটি গ্রাফিক্স-ডিজাইন মার্কেট প্লেস। যেখানে ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারদের জন্য কাজ পাবার সম্ভাবনা অনেক।

এই সাইটটি 99ডিজাইন এর মতো হলেও। কাজের রেট তুলনামূলক কম হওয়ায়। এখানে কম্পিটিশনও কম থাকে। সুতরাং নতুনদের জন্য এখান থেকে কাজ পাবার সম্ভাবনা বেশি।

ডিজাইন ক্রাউড সাধারণত, কাস্টম গ্রাফিক্স, লোগো ডিজাইন, ওয়েব-ডিজাইন। এবং টি-শার্ট ও মগের উপর প্রিন্টিং ডিজাইনের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্স বাজার।

৪) আর্ট ওয়ান্টেড

আপনি কি আর্টশিল্পে পারদর্শী? পেন্সিল বা কলম দিয়ে আঁকা-আকি করতে আপনার ভালো লাগে? অথবা শখের বশে চিত্র, কার্টুন বা যেকোন ডিজাইন করে থাকেন? তাহলে আর্ট-ওয়ান্টেড এর মাধ্যমে সৃজনশীল উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন অনায়াসে।

বায়াররা এখানে বিভিন্ন কীওয়ার্ড দ্বারা ব্রাউজ করে। এবং তাদের পছন্দসই আর্ট টি ক্রয় করার জন্য আর্টিস্টের সাথে যোগাযোগ করে থাকে।

আসলে এটিকে আপনি, একটি পোর্টফোলিও সাইটও বলতে পারেন। কারণ, অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার ও আর্টিস্টরা এখানে তাদের আর্ট+ডিজাইন করে পোর্টফোলিও হিসেবে ডিজাইন-স্টোর তৈরি করে রাখে। যাতে করে বায়ারকে কাজের নুমনা দেখানো যায়। এছাড়াও এখানে আর্ট গ্যালারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা যায়।

৫) কোরোফ্লট

আপনি যদি ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাহলে কোরোফ্লট প্লাটফর্মটি আপনার জন্য সেরা গ্রাফিক্স-ফ্রিল্যান্সিং পোর্টফোলিও সাইট হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
 এই জবপ্লেসটি প্রায় আর্ট-ওয়ান্টেড এর মতই। কিন্তু পার্থক্য হলো: আর্ট-ওয়ান্টেডে ফটোগ্রাফি ও আর্টোগ্রাফি’র কাজগুলো বেশি পাওয়া যায়। আর কোরোফ্লট এ সকল ক্যাটাগরির গ্রাফিক্স-পোর্টফোলিও তৈরি করার মাধ্যমে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পাওয়া যায়।

৬) ক্রাউডস্প্রিঙ

এই প্লেসটি ইউনিক ও ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারদের জন্য সেরা। এখানে লোগো ডিজাইন থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স সংক্রান্ত সকল ধরণের কাজ পাওয়া যায়।

এখানে ফ্রিতে সাইন আপ করে তৎক্ষনাৎ ফ্রিল্যান্স করা সম্ভব। কারণ, সাইটটিতে আপওয়ার্ক.কম এর মতো কনফার্মেশন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়না। Crowd Spring নতুনদের জন্য ভালো একটি মার্কেটপ্লেস।

৭) রেড বাবল

রেড-বাবল একটি অস্ট্রেলিয়ান ডিজাইনপ্লেস। বিভিন্ন দেশের কোম্পানীগুলো টি-শার্ট, মগে বা স্টিকারে প্রিন্ট করার জন্য। তাদের প্রয়োজনীয় রেডিমেট ডিজাইন এখান থেকে ক্রয় করে।এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে। একটি ভার্চুয়াল ডিজাইন শপ তৈরি করে নিজের ডিজাইনগুলো আপলোড করে রাখবেন। ব্যস! আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না। ডিজাইনের মূল্য নির্ধারণ এবং প্রমোশনসহ বাকী সব কাজ। রেড-বাবলের এক্সিকিউটিভ কর্তৃক করে নেবে

ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করে আয়

৮) ইনকডি

এই সাইটটিতে বিজনেস-কার্ড, লেটারহেড, ভাউচার ও ইনভেলপসহ এই জাতীয় প্রোডাক্ট বেশি সেল (বিক্রি) হয়। এবং বায়াররা এখানে প্রফেশনাল ডিজাইনারদের দ্বারা তাদের প্রোডাক্টের কাঙ্খিত ডিজাইন করিয়ে নেয়।

বাধ্য-বাধকতা:
এ্যাকাউন্ট খুলার পর, আপনার কৃত ডিজাইন আপলোড দিতে হবে।

ডিজাইনটি ইউনিক হলে বা এর চাহিদা থাকলে। তবেই ইংকডি কর্তৃক ডিজাইন এ্যাপ্রুভ করার মাধ্যমে। আপনি ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন।

যদিও এখানে কাজ পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু প্রফেশনালদের জন্য কাজ পাওয়া কোন ব্যাপারই না।
 তবে এই সাইটের সুবিধা হলো: এখানে প্রতিটি ডিজাইন সর্বনিম্ন $30 ডলারে বিক্রি হয়। সুতরাং ইংকডি ই হতে পারে, আপনার ডিজাইন-ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা প্লাটফর্ম।

৯) দিস-ইস-এ-লিমিটেড-এডিশনে গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্স জব

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। এই সাইটে কাজ করতে পারলে। গ্রাফিক্সের দুনিয়ায় নিজেকে একজন স্বার্থক ডিজাইনার হিসেবে ভাবতে শুরু করবেন।

তবে, এখানে কাজ করার শর্ত হলো। আপনাকে সত্যিকারের ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হবে। এই সাইটে ঘরের, অফিসের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আসবাবপত্রের ডিজাইন প্রিন্ট, আর্ট প্রিন্ট, ক্যানভাস প্রিন্টসহ। A to Z মানে সকল ধরণের ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়।

কাজ পাবার নিয়ম:
এই সাইটটিও অনেকটা প্রফেশনাল। অর্থাৎ অনান্য মার্কেটপ্লেসের মতো। এখানে সাইন আপ করার জন্য। সরাসরি কোন অপশন রাখেনি। তবে জয়েন হওয়ার জন্য প্রথমে লিংকে ক্লিক করে রিকোয়েস্ট মেইল পাঠাতে হবে। এরপর তারা আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা ভেরিফাই করার পর। পোর্টফোলিও গ্রহণযোগ্য হলে। তবেই আপনাকে জয়েন হওয়ার জন্য ইনভাইটেশন লিংক পাঠাবে।

১০) সোসাইটি সিক্স

আচ্ছা! যদি এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়। তাহলে বিষয়টা কেমন হয়?

হ্যাঁ! সোসাইটি সিক্স আপনাকে এক ঢিলে দু্ই পাখি মারার মত, সুযোগ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ ধরুন, আপনি একটি টি-শার্টের ডিজাইন করে এই সাইটে আপলোড করলেন। আর আপনার ডিজাইনটি তাদের অটোমেটেড সফটওয়্যারের মাধ্যমে। স্টিকারে, মগে, শপিং ব্যাগে এবং অনান্য যেকোন প্রিন্টেড ভার্সনে কনভার্ট হয়ে তাদের সাইটে সংরক্ষিত হবে। আর হ্যাঁ; এই কাজের সম্পূর্ণ স্বত্বাধিকারী কিন্তু আপনারই থাকবে।

বন্ধু! আপনি যদি এই সাইটে একবার কাজ করেন। আমি নিশ্চিত যে, আপনি বলতে বাধ্য হবেন। সোসাইটি-সিক্স মার্কেটটি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য। ঘরে বসে আয় করার একটি সেরা ফ্রিল্যান্স-সাইট। সুতরাং, গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করতে চাইলে। আজই জয়েন করুন সোসাইটি-সিক্স এ।

ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করে পেসিভ ইনকাম

১১) গ্রাফিক-রিভার

ডিজাইন করে পেসিভ ইনকাম করার জন্য। সবচেয়ে সেরা মার্কেটপ্লেস হলো গ্রাফিক-রিভার। কারণ, প্রোডাক্টস বিক্রি এবং ক্রেতা পাওয়ার জন্য। এটি একটি নির্ভরযোগ্য সাইট। মূলত এই সাইটটি ইনভেটু এর একটি ডিজাইন সাবমিটপ্লেস। আপনি কেবল আপনার ডিজাইনটি এখানে একবার সাবমিট করবেন। ব্যস্! যতবার বিক্রি হবে। আপনি ঠিক ততবারই সেল প্রতি ৬০% – ৮০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।

গ্রাফিক-রিভারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া প্রোডাক্ট-ক্যাটাগরির মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • -লোগো ও ফটো ডিজাইন
  • -ইলাস্ট্রেটর ভেক্টর
  • -প্রেজেন্টেশন
  • -মগ ও ব্যাগের প্রিন্ট ডিজাইন
  • -ওয়েব এলিমেন্ট ডিজাইন
  • -গেমস এসেস্ট
  • -ওয়েব আইকন
  • -ফন্ট ও টাইপিং স্টাইল এবং
  • -টি-শার্ট ডিজাইনসহ আরো অনেক ক্যাটাগরির ডিজাইন।


সুতরাং, ফ্রিতে একটি একাউন্ট খুলে আজ থেকেই পেসিভ ইনকাম সোর্স ওপেন করতে পারেন। সেই সাথে, হাই-লেভেলের ডিজাইনারদের কাছ থেকে। গ্রাফিক্স সংক্রান্ত যাবতীয় টিপস পেতে পারেন। এই ডিজাইন মার্কেটের টিউটোরিয়াল ব্লগের মাধ্যমে।

১২) ক্রিয়েটিভ মার্কেট

এই সাইটটি প্রায় গ্রাফিক-রিভার এর মতই। তবে, পার্থক্য হলো:-

১) গ্রাফিক-রিভারে ডিজাইন মূল্য সাইট-কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

কিন্তু এখানে আপনিই আপনার ডিজাইনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন।

২) graphicriver এ অনির্ধারিত হারে ৬০% – ৮০% বিক্রয় কমিশন পাবেন। আর ২০% – ৪০% কমিশন তারা রেখে দিবে।

কিন্তু creative market এ নির্ধারিত বিক্রয় মূল্যের শতকরা ৩০% তারা রাখবে। এবং বাকি ৭০% আপনি পাবেন।

তবে, Graphic River ও Creative market প্লেসের মধ্যে মিল হলো। আপনার রেফারেন্সে যদি কেউ যেকোন ডিজাইন ক্রয় করে। তাহলে আপনি সেল প্রতি বাড়তি কিছু কমিশন পাবেন।

সুবিধা:

এই সাইটের সুবিধা হচ্ছে, আপনি চাইলে। একই ডিজাইন অন্য সাইটেও বিক্রি করতে পারবেন। বলতে পারেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুবর্ণ সুযোগ। এতে সাইট কর্তৃপক্ষের কোন আপত্তি নাই।

সুতরাং দেরি না করে। graphic river এর পাশাপাশি এই সাইটেও ডিজাইন বিক্রি করে আয় করতে পারেন নিঃসংকোচে।

১৩) জিএল-স্টোক

ক্রিয়েটিভ-মার্কেটের মতো, এ সাইটেও আপনি। একই ডিজাইন অন্য সাইটেও বিক্রি করতে পারবেন। তবে সামান্য পার্থক্য হলো:

প্রতিটি ডিজাইন বাবদ, আপনার মনের মতো করে। $1-$30 পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারবেন। যার ৪০% বিক্রয় কমিশন, আপনি পাবেন। এবং সর্বনিম্ন ৫০ ডলার হলেই উইথড্র করতে পারবেন।

১৪) ফিভারার

বিশ্বের বৃহত্তম একটি ছোট মার্কেটপ্লেস হলো Fiverr। এখানে যেকোন ডিজাইনের নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য: মাত্র ৫ ডলার । গ্রাফিকস ডিজাইন ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট, সস্তায় কিনতে পাওয়া যায়। তাই (স্মল বিজনেসের) বায়াররা এখান থেকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট ক্রয় করে থাকে।

এই সাইটের ইউনিক রোল হলো গিগ করা। অর্থাৎ আপনি ৫ ডলারের বিনিময়ে কতটুকু সার্ভিস দিবেন। সে ব্যাপারে উল্লেখ করে দিতে হবে।

যদি আপনার সার্ভিস পয়েন্টগুলো দেখে কোন বায়ারের পছন্দ হয়। তাহলে সে আপনাকে হায়ার করবে। এছাড়া, প্রতিনিয়ত আপনার গিগ তো সেল হচ্ছেই।

সংকোচ সমাধান:
আপনার হয়তো সংকোচ হতে পারে যে। মাত্র ৫ ডলার! এতো কম প্রাইজে বিক্রি করলে কি আর, বেশি পরিমাণে উপার্জন করা যাবে?

উত্তর:

১) সস্তায় ভালো মানের প্রোডাক্ট কিনতে পাওয়া যায়। তাই এ সাইটের ক্রেতাও বেশি।
 ২) প্রচলিত আছে: লাভ কম, সেল বেশি। অর্থাৎ

এখানে ডিজাইন সেল করে খুব বেশি টাকা না পেলেও। যখন আপনার একই ডিজাইন বারবার সেল হবে। আর আপনিও বারবার কমিশন পেতে থাকবেন। তখন দেখবেন মোটের উপর একটা বড় অ্যামাউন্ট আপনি পেয়ে গেছেন।

আবারও বলছি; এই সাইট থেকে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকামের ট্রিকস হলো। লাভ কম কিন্ত সেল বেশি এবং সেল যতো বেশি। আপনার ইনকামও ততো বেশি হবে

Post a Comment

2 Comments

Please Don't Send Any Spam Link